পরীক্ষা শেষে দিন ধার্য হলো লঞ্চে করে গ্রামে দাদা বাড়ি যাওয়ার । একদিন দুদিন করে অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত । আমরা সবাই বাঁধভাঙ্গা উৎসাহে নিধর্ারিত সময়ে লঞ্চে উঠলাম। উঠেই আমার ছোট বোন নুপূর বলল, আব্বু ক্ষিদে পেয়েছে। বাবা নুপূরের ইচ্ছা পূরণে ব্যসত্দ হয়ে পড়ল। আমি ব্যসত্দ হয়ে পড়লাম নদীর অপরূপ দৃশ্য অবলোকনে। এই প্রচন্ড শীতের মধ্যেও মাঝিরা ছোট ছোট নৌকা নিয়ে ব্যসত্দ তাদের কাজে। ধীরে ধীরে নদীর দৃশ্যগুলো ঝাপসা হতে লাগলো কারণ কুয়াশা পঢ়েছে। হঠাৎ মনে প্রশ্ন এলো এত কুয়াশার মধ্যে সারেং কি করে লঞ্চ চালায় ? আবার ভাবলাম এটা তাদের অভিজ্ঞতার ব্যাপার। এরই মধ্যে দশটা বেজে গেল। মা ডাকলেন রাতের খাবারের জন্য। লঞ্চে বরাবরই রাতের খাবারে স্পেশাল মেনু হয়। তাই মজা করে ডিনার শেষে মাত্রাতিরিক্ত শীতের কারণে ঘুমাতে হলো। কিন্তু আমার দাদা বাড়ি যাবার চাপা উত্তেজনায় ঘুম আসছেনা। এক সময়ে সবাই ঘুমোলাম.............কিন্তু হঠাৎ মাঝরাতে প্রচন্ড ঝাকুনিতে সবাই আতংকিত হয়ে গেলাম। ঘন কুয়াশার কারণে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লঞ্চের সাথে আমাদের লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। চারদিকে চিৎকার কান্নায় একটা হুলস্থূল ব্যাপার। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো আমাদের লঞ্চের ক্ষতি না হলেও অন্য লঞ্চটির মানুষজন আহত হয়েছে এবং পাঁচ বছরের একটি শিশু রেথে বাবা মা দুজনেই মারা গেছেন। ঘটনাটা দেখে আমার মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। অবশেষে এতিম শিশুটিকে মা নিজের করে নিয়ে আসেন। তার নতুন নাম রাখা হলো পৌষী। যেহেতু ঘটনাটা ঘটেছে বাংলা পৌষ মাসে। আমরা এখন তিন ভাই-বোন। আমি, নুপূর এবং পৌষী। এথনও আমরা শীত এলে দাদা বাড়ি যাই। আর প্রতিবার পৌষী লঞ্চে উঠে কান্নায় চোখ ভেজায়। আমরাও রাতে আতংকে থাকি আবার না ঘটে সেই কুয়াশাচ্ছন্ন রাতের বিভীষিকাময় ঘটনা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রাজিব হাসান
সবাই কে শুভেচ্ছা / অনেকদিন পরে এলাম............./ I was out of network...........যার কারণে এবারের গল্পটা ছোট হয়ে গেল /
এটা অনেক আগেই লেখা ছিল...... তাই তাড়াহুড়ো করে পোস্ট করে dilam
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।